শিলাজিৎ কি? আসল শিলাজিৎ কোথায় পাবো বিস্তারিত জানুন
শিলাজিৎঃ প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহৃত একটি রহস্যময় পদার্থ
শিলাজিৎ যা সালাজিৎ, মুমিজো বা মমি নামেও পরিচিত, একটি জটিল খনিজ-সমৃদ্ধ পদার্থ যা শতাব্দী ধরে ঔষধি গুণাবলীর জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হিমালয়, তিব্বত এবং অন্যান্য পর্বতমালার উচ্চ উচ্চতায় পাওয়া যায়, শিলাজিৎ বিভিন্ন খনিজ, যৌগ এবং জৈব পদার্থের একটি মিশ্রণ ধারণ করে।
শিলাজিতের উপাদানঃ
শিলাজিৎ বিভিন্ন খনিজ, যৌগ এবং জৈব পদার্থের একটি জটিল মিশ্রণ। এর মধ্যে রয়েছে:
- হিউমিক অ্যাসিড: এটি একটি জৈব যৌগ যা উদ্ভিদের বিঘটনের মাধ্যমে তৈরি হয়। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।
- ফুলভিক অ্যাসিড: এটি আরেকটি জৈব যৌগ যা খনিজ পদার্থ শোষণে সহায়তা করে।
- খনিজ পদার্থ: শিলাজিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, তামা, এবং আরও অনেক খনিজ পদার্থ থাকে।
- অন্যান্য যৌগ: এতে অ্যামিনো অ্যাসিড, এনজাইম, এবং উদ্ভিজ উৎপন্ন যৌগও থাকতে পারে।
শিলাজিতের কাজঃ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে
বিজ্ঞানীরা এখনও শিলাজিতের সঠিক কার্যপ্রণালী সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারেননি। তবে, গবেষণার মাধ্যমে, বিজ্ঞানীরা ধীরে ধীরে বুঝতে পারছেন যে শিলাজিৎ বিভিন্ন উপায়ে শরীরকে প্রভাবিত করতে পারে।
শিলাজিৎ খাওয়ার নিয়মঃ
শিলাজিৎ একটি জটিল খনিজ-সমৃদ্ধ পদার্থ যা শতাব্দী ধরে ঔষধি গুণাবলীর জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা ধারণ করে, শিলাজিৎ পুরুষদের যৌনতা, শারীরিক কর্মক্ষমতা, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, হাড়ের স্বাস্থ্য, রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে বলে মনে করা হয়।
শিলাজিৎ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণঃ
- ডোজ: গবেষণায় ব্যবহৃত শিলাজিৎ ডোজ ২৫০ মিলিগ্রাম থেকে ১ গ্রাম পর্যন্ত। শুরু করার জন্য, কম ডোজ (২৫০ মিগ্রাম) দিয়ে শুরু করা এবং ধীরে ধীরে আপনার শরীরের প্রতিক্রিয়া অনুসারে বাড়ানো ভাল। অতিরিক্ত ডোজ এড়িয়ে চলুন কারণ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
- রূপ: শিলাজিৎ বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে গুঁড়ো, ক্যাপসুল এবং ট্যাবলেট।আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করে আপনি যেকোনো রূপ ব্যবহার করতে পারেন।যাইহোক, নিশ্চিত করুন যে আপনি একটি বিশ্বস্ত উৎস থেকে উচ্চমানের শিলাজিৎ কিনছেন।
- খাওয়ার সময়: শিলাজিৎ যেকোনো সময় খাওয়া যেতে পারে, তবে খাবারের সাথে খাওয়া ভাল কারণ এটি শোষণে সাহায্য করতে পারে। কিছু লোক সকালে খালি পেটে শিলাজিৎ খেতে পছন্দ করে।
- দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার: শিলাজিৎ দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য নিরাপদ বলে মনে করা হয়।বেশিরভাগ গবেষণায় ৩ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত শিলাজিৎ সেবন করা হয়েছে।আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের কথা ভাবেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
শিলাজিৎ গ্রহণের পূর্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে আপনি যদি অন্য কোনও ঔষধ গ্রহণ করেন বা কোনও চিকিৎসা অবস্থা থাকে।
শিলাজিৎ খাওয়ার উপকারিতা ঃ
আধুনিক বিজ্ঞান শিলাজিৎ এর কিছু সম্ভাব্য উপকারিতা সমর্থন করার জন্য শুরু করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি নিম্নলিখিতগুলির জন্য উপকারী হতে পারেঃ
পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের জন্যঃ
- টেস্টোস্টেরন মাত্রা বৃদ্ধি: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে শিলাজিৎ টেস্টোস্টেরন মাত্রা বাড়াতে পারে, যা যৌন শক্তি, লিবিডো এবং সার্বিক পুরুষ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।
- ধাতুপুষ্টির ঘাটতি পূরণ: শিলাজিৎ জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়ামের মতো খনিজ সমৃদ্ধ যা পুরুষ প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- শুক্রাণুগুলোর গুণমান উন্নত: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে শিলাজিৎ শুক্রাণুগুলোর গতিশীলতা এবং সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিঃ
- স্মৃতিশক্তি উন্নত: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে শিলাজিৎ স্মৃতিশক্তি এবং জ্ঞানীয় কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে।
- মনোযোগ বৃদ্ধি: শিলাজিৎ মনোযোগ এবং মনোনিবেশ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে বলে মনে করা হয়।
- আলঝেইমার এবং পার্কিনসন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই: কিছু প্রাথমিক গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে শিলাজিৎ এই নিউরোডেজেনারেটিভ রোগের বিরুদ্ধে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
শরীরের শক্তি বৃদ্ধিঃ
- শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে শিলাজিৎ ক্লান্তি কমাতে এবং শারীরিক কর্মক্ষমতা উন্নত করতে পারে।
- শক্তি বৃদ্ধি: শিলাজিৎ শরীরে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে বলে মনে করা হয়।
- পেশী বৃদ্ধি: কিছু লোক বিশ্বাস করে যে শিলাজিৎ পেশী বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে, তবে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
অন্যান্য সম্ভাব্য সুবিধাঃ
- হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে শিলাজিৎ হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে: শিলাজিতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে যা গাউট এবং আর্থ্রাইটিসের মতো অবস্থার জন্য উপকারী হতে পারে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: কিছু লোক বিশ্বাস করে যে শিলাজিৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে, তবে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
শিলাজিৎ খাওয়ার অপকারিতাঃ
শিলাজিতে 80 টিরও বেশি খনিজ পদার্থ এবং বিভিন্ন জৈব যৌগ রয়েছে যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়।
যদিও শিলাজিৎ সাধারণত নিরাপদ বলে মনে করা হয়, কিছু সম্ভাব্য অপকারিতা ও ঝুঁকি রয়েছে যা সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণঃ
শিলাজিৎ বাংলাদেশে কোথায় পাওয়া যায় ঃ
বাংলাদেশে শিলাজিৎ অনলাইন, ঔষধের দোকান, আয়ুর্বেদিক দোকানদারদের কাছ থেকে পাওয়া যায়।
- অনলাইন:আপনি বিভিন্ন অনলাইন শপিং মল যেমন আলিএক্সপ্রেস, অ্যামাজন, দারাজ, সাজগোজ, বিক্রিয়.কম ইত্যাদিতে শিলাজিৎ কিনতে পারেন।
- ঔষধের দোকান:কিছু বড় ঔষধের দোকানে শিলাজিৎ পাওয়া যায়। তবে, সব ঔষধের দোকানেই এটি পাওয়া যায় না।
- আয়ুর্বেদিক দোকান:ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট এবং রংপুরের মতো বড় শহরগুলিতে অনেক আয়ুর্বেদিক দোকান রয়েছে যেখানে শিলাজিৎ পাওয়া যায়।
শিলাজিৎ কেনার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিতঃ
- খ্যাতিমান বিক্রেতার কাছ থেকে কিনুন: শিলাজিৎ কেনার সময়, নিশ্চিত করুন যে আপনি একজন খ্যাতিমান বিক্রেতার কাছ থেকে কিনছেন। অনলাইনে কেনাকাটা করার সময়, বিক্রেতার রিভিউগুলি পড়ুন।
- পণ্যের গুণমান পরীক্ষা করুন: শিলাজিৎ কেনার সময়, পণ্যের গুণমান পরীক্ষা করুন। নিশ্চিত করুন যে এটি পরিষ্কার এবং ধুলোমুক্ত। এটিতে কোনও তিক্ত গন্ধ বা অস্বাভাবিক স্বাদ থাকা উচিত নয়।
- একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন: আপনি যদি গর্ভবতী, স্তন্যদানকারী, বা কোনও স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন তবে শিলাজিৎ ব্যবহার শুরু করার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
বাংলাদেশে শিলাজিৎ এর দামঃ
শিলাজিৎ এর দাম নির্ভর করে এর গুণমান, উৎপত্তি এবং বিক্রেতার উপর। সাধারণত, ১০ গ্রাম শিলাজিৎ এর দাম ৫০০টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
আসল শিলাজিৎ কোথায় পাবো ঃ
আসল শিলাজিৎ খুঁজে পাওয়া কঠিন হতে পারে, কারণ বাজারে অনেক নকল ও ভেজাল পণ্য রয়েছে।
তবে, এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল যা আপনাকে আসল শিলাজিৎ খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারেঃ
উৎসঃ
- হিমালয়: আসল শিলাজিৎ হিমালয়ের পর্বতমালার পাথুরে ফাটলে পাওয়া যায়। তাই, হিমালয়ের দেশগুলি, যেমন নেপাল, ভারত, ভুটান এবং পাকিস্তান থেকে আসা শিলাজিৎ সম্ভবত আরও নির্ভরযোগ্য।
- খ্যাতিমান বিক্রেতা: অনলাইন বা অফলাইনে কেনাকাটা করার সময়, একজন খ্যাতিমান বিক্রেতা খুঁজুন যার ভালো রিভিউ রয়েছে।
- পরীক্ষা প্রতিবেদন: বিক্রেতা যদি তৃতীয় পক্ষের পরীক্ষা প্রতিবেদন সরবরাহ করতে পারে যা শিলাজিৎ এর বিশুদ্ধতা ও উপাদানগুলি নিশ্চিত করে, তাহলে তা ভালো।
বৈশিষ্ট্যঃ
- রঙ: আসল শিলাজিৎ সাধারণত গাঢ় বাদামী বা কালচে রঙের হয়। এটি কখনই কালো বা সাদা রঙের হবে না।
- গন্ধ: আসল শিলাজিৎ এর একটি অনন্য গন্ধ থাকে যা কিছুটা তীব্র হতে পারে।
- স্বাদ: আসল শিলাজিৎ এর স্বাদ কিছুটা তিক্ত এবং ধাতব হতে পারে।
- দ্রবীভূতকরণ: আসল শিলাজিৎ গরম পানিতে দ্রবীভূত হওয়া উচিত।
- ফর্ম্যাট: শিলাজিৎ বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়, যেমন গুঁড়ো, ক্যাপসুল এবং লোশন।
মূল্যঃ
- আসল শিলাজিৎ সাধারণত নকল বা ভেজাল পণ্যের তুলনায় বেশি দামি হয়।
- অস্বাভাবিকভাবে কম দামের শিলাজিৎ সম্ভবত নকল।
আসল শিলাজিৎ খুঁজে পাওয়া কঠিন হতে পারে, তবে উপরের টিপসগুলি আপনাকে সঠিক পণ্যটি খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে।
সাদা শিলাজিৎ এর উপকারিতাঃ
সাদা শিলাজিৎ, "পর্বতের তুষার" নামেও পরিচিত, হিমালয়ের উচ্চতম অঞ্চলে পাওয়া একটি বিরল প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ। এটি গাঢ় বাদামী বা কালচে রঙের শিলাজিতের তুলনায় অনেক কম পাওয়া যায় এবং এর জন্য এটি আরও দামি।
ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় সাদা শিলাজিৎ এর দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের ইতিহাস রয়েছে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা দাবি করা হয়।
সাদা শিলাজিৎ এর কিছু সম্ভাব্য উপকারিতাঃ
- পুরুষ প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করে: গবেষণায় দেখা গেছে যে সাদা শিলাজিৎ টেস্টোস্টেরন মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে, শুক্রাণুর গতিশীলতা ও সংখ্যা উন্নত করতে পারে এবং পুরুষ যৌনতার কার্যকারিতা বাড়াতে পারে।
- স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে সাদা শিলাজিৎ স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং জ্ঞানীয় কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। এটি অ্যালঝেইমার এবং পার্কিনসন রোগের মতো নিউরোডেজেনারেটিভ রোগের বিরুদ্ধে রক্ষা করতেও সাহায্য করতে পারে।
- শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করে: সাদা শিলাজিৎ শারীরিক কর্মক্ষমতা উন্নত করতে এবং ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে বলে মনে করা হয়। এটি এথলেটদের জন্য একটি জনপ্রিয় খাদ্য দ্রব্য হয়ে উঠেছে।
- হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে সাদা শিলাজিৎ হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- প্রদাহ কমায়: সাদা শিলাজিটে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গাঁটবাত, আর্থ্রাইটিস এবং অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগের লক্ষণগুলি হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: সাদা শিলাজিৎ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে বলে মনে করা হয়।
- মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে সাদা শিলাজিৎ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: সাদা শিলাজিৎ রক্তচাপ কমাতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
- চাপ ও উদ্বেগ কমাতে পারে: সাদা শিলাজিটে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চাপ হরমোন কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি উদ্বেগ ও চাপের লক্ষণগুলি হ্রাস করতে পারে।
- মানসিক অবসাদ হ্রাস করতে পারে: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে সাদা শিলাজিৎ ডিপ্রেশনের লক্ষণগুলি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি মস্তিষ্কে সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা বাড়াতে পারে।
- স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পারে: সাদা শিলাজিৎ মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে এবং নিউরোট্রান্সমিটারের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে। এটি স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং জ্ঞানীয় কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে।
- ঘুমের মান উন্নত করতে পারে: সাদা শিলাজিটে শিথিলকরণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ঘুমের মান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি ঘুমাতে সময় লাগা কমাতে এবং ঘুমের গুণমান উন্নত করতে পারে।
- মানসিক স্বাস্থ্যের অন্যান্য সমস্যাগুলির চিকিৎসায় সহায়ক হতে পারে: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে সাদা শিলাজিৎ অ্যালঝেইমার রোগ, পার্কিনসন রোগ, এবং স্কিজোফ্রেনিয়ার মতো মানসিক স্বাস্থ্যের অন্যান্য সমস্যার লক্ষণগুলি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
শিলাজিৎ একটি সম্ভাব্য উপকারী খনিজ পদার্থ যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা দিতে পারে। তবে, আরও গবেষণার প্রয়োজন এবং এটি সকলের জন্য উপযুক্ত নয়। আপনি যদি শিলাজিৎ ব্যবহার করার কথা ভাবছেন, তাহলে একজন ডাক্তার বা স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url