কুরবানী কি? কুরবানীর গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপনি যদি জানতে চান, কুরবানী কি? কুরবানীর গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।
ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হল কুরবানী। ঈদুল আযহার সময় নির্ধারিত পশু জবেহ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভের আশায় এই ইবাদত পালন করা হয়। কুরবানী শুধুমাত্র পশু জবেহ করার একটি আচার নয়, বরং এটি আল্লাহর প্রতি অগাধ কৃতজ্ঞতা, আত্মত্যাগ ও বিনীততা, মানবতার প্রতি সহানুভূতি এবং সামাজিক সম্প্রীতির অপরিসীম ভূমিকা প্রকাশ করে থাকে।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক, কুরবানী কি? কুরবানীর গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়গুলো।
কুরবানী কি?
قربانى বা কুরবানী শব্দের অর্থ হলো “কারোর নিকটবর্তী হওয়া”। ইসলামে, কুরবানী বলতে ঈদুল আযহার সময় নির্দিষ্ট পশু জবেহ করাকে বোঝায়। এটি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, তাঁর আনুগত্য প্রমাণ এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করা হয়।
কুরবানীর ইতিহাস: ঈমান ও আত্মত্যাগের এক দীর্ঘাশ্রয়ী প্রবাহ
কুরবানী, যা ঈদুল আযহা উপলক্ষে পালিত হয়, মানব সভ্যতার সূচনাকাল থেকেই বিদ্যমান। আদম (আলাইহিস সালাম) ও হাবিল (আলাইহিস সালাম)-এর ঘটনা থেকে শুরু করে নবী ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম), নবী ইসমাইল (আলাইহিস সালাম) এবং নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর মাধ্যমে কুরবানীর ঐতিহ্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসছে।
প্রাচীনকালে, বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব বিশ্বাস ও রীতিনীতি অনুসারে পশু জবেহ করত। কুরআন-এর বর্ণনা অনুসারে, আদম (আলাইহিস সালাম)-এর দুই পুত্র হাবিল ও কাবিল আল্লাহর নিকট তাদের নিজস্ব কাজের ফলাফল পেশ করেছিলেন। হাবিলের ভেড়ার জবেহ আল্লাহ গ্রহণ করেন, কিন্তু কাবিলের ফসলের কিছু অংশ আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছিল কিন্তু আল্লাহ তা গ্রহণ করেন না। তৎকালীন সময়ের আল্লাহর নির্ধারিত বিধান ছিল যে, আগুন আকাশ থেকে নেমে আসবে এবং আল্লাহর গ্রহণযোগ্য কুরবানী গ্রহণ করবে। এই ঘটনা থেকেই কুরবানীর ধারণা শুরু হয় বলে মনে করা হয়।
নবী ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে আল্লাহ এক স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন যেখানে তিনি তার পুত্র ইসমাইল (আলাইহিস সালাম)-কে জবেহ করছেন। ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) স্বপ্নকে আল্লাহর আদেশ বলে মনে করেছিলেন এবং তার পুত্রকে জবেহ করার প্রস্তুতি নেন। ঠিক যখন তিনি ইসমাইল (আলাইহিস সালাম)-কে জবেহ করবেন, তখন আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা পরিবর্তন করেন এবং একটি উট দিয়ে ইসমাইল (আলাইহিস সালাম)-কে মুক্তি দেন। এই ঘটনা কুরবানীর ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘটায়।
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা জয় করার পর হজ্জ পালন করেন। তখন তিনি হজরত ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) ও হজরত ইসমাইল (আলাইহিস সালাম)-এর স্মরণে কুরবানী করার নির্দেশ দেন। তখন থেকে কুরবানী ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে পালিত হতে থাকে।
কুরবানীর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক দিক থেকে বিবেচ্য। এটি ঈমান ও আত্মত্যাগের একটি প্রতীক। আল্লাহর প্রতি সমর্পণ ও তার আদেশ পালনের প্রতীক। গরিব ও অভাবীদের সাহায্য করার মাধ্যম। সামাজিক বন্ধন স্থাপন ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির মাধ্যম।
কুরবানী: ফরজ না ওয়াজিব, নাকি সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ?
ইসলামী আইনশাস্ত্রে, কুরবানী ফরজ না ওয়াজিব, নাকি সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ, এ ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে মতপার্থক্য বিদ্যমান।
প্রথম মত অনুসারে, কুরবানী ওয়াজিব। এই মতের সমর্থকরা নিম্নলিখিত দলিল উপস্থাপন করেন:
- আল-কুরআন: আল্লাহ তা'আলা সূরা কাউছার-এ (আয়াত ২) বলেছেন, "তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং (পশু) কুরবানি কর।"
- হাদিস: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানি করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহের ধারে না আসে।" (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং: ২৩৫৭)
- ঐতিহাসিক প্রমাণ: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এবং সাহাবীদের আমলে প্রতি বছর কুরবানি করা হত।
দ্বিতীয় মত অনুসারে, কুরবানী সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। এই মতের সমর্থকরা নিম্নলিখিত দলিল উপস্থাপন করেন:
- হাদিস: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "কুরবানি আমার পক্ষ থেকে সাত প্রজন্মের জন্য ফরজ ছিল।" (তিরমিযি, হাদিস নং: ১৫১৫)
- অন্যান্য হাদিস: অনেক হাদিসে কুরবানীকে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
- কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ফরজের জন্য প্রযোজ্য নয়।
উভয় মতেরই যুক্তি যুক্তিসঙ্গত। তবে, অধিকাংশ আলেম মনে করেন কুরবানী সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।
কুরবানীর ব্যাপারে আপনার যদি কোন সন্দেহ থাকে, তাহলে আপনার এলাকার একজন জ্ঞানী আলেমের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
কুরবানীর উদ্দেশ্য: ঈমান, আত্মত্যাগ ও সামাজিক দায়িত্বের এক মিলনস্থল
কুরবানী, ঈদুল আযহার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান, যা বহুমুখী উদ্দেশ্য ধারণ করে। এই উদ্দেশ্যগুলো ঈমান, আত্মত্যাগ, সামাজিক দায়িত্ব এবং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সাথে সম্পর্কিত।
প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হল:
- আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও সমর্পণ: কুরবানী আল্লাহর নির্দেশ পালনের মাধ্যমে তাঁর প্রতি আনুগত্য ও সমর্পণ প্রকাশ করে।হজরত ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) ও হজরত ইসমাইল (আলাইহিস সালাম)-এর আত্মত্যাগ এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের স্মরণ।
- ঈমানের শক্তি ও আত্মত্যাগ: কুরবানী ঈমানের শক্তি ও আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার প্রতীক। নিজের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস ত্যাগ করার মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ প্রকাশ করা হয়।
- গরিব ও অভাবীদের সাহায্য: কুরবানীর মাংসের এক তৃতীয়াংশ গরিব ও অভাবীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও সমাজের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি।
- আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ: আল্লাহ আমাদেরকে যে সকল সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যম। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
- সামাজিক বন্ধন স্থাপন: কুরবানীর মাংস আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধুদের সাথে বিতরণ করা হয়।সামাজিক বন্ধন স্থাপন ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি।
- ঈমান ও আত্মত্যাগের প্রতীক: হজরত ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) ও হজরত ইসমাইল (আলাইহিস সালাম)-এর ঘটনা কুরবানীর ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এই ঘটনা থেকে আমরা ঈমানের শক্তি ও আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার শিক্ষা লাভ করি।
- গরিবদের সাহায্য: কুরবানীর মাংসের এক ভাগ গরিব ও অভাবীদের জন্য বিতরণ করা হয়। এটি তাদের প্রতি সহানুভূতি ও সাহায্যের প্রতীক।
কুরবানী করার নিয়ম: বিস্তারিত নির্দেশিকা
কুরবানী হলো ঈদুল আযহার সময় নির্দিষ্ট পশু জবেহ করে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, তাঁর আনুগত্য প্রমাণ এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করা একটি ইবাদত। কুরবানী করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে যা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
কুরবানী করার পশু:
- প্রজাতি: উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা কুরবানী করা যায়।
- বয়স: উটের জন্য 6 বছর, গরু ও মহিষের জন্য 2 বছর, ছাগল ও ভেড়ার জন্য 1 বছর পূর্ণ হতে হবে।
- স্বাস্থ্য: পশু অবশ্যই সুস্থ, দোষমুক্ত এবং পূর্ণাঙ্গ হতে হবে।
- লিঙ্গ: পুরুষ পশু কুরবানী করা উত্তম, তবে স্ত্রী পশুও কুরবানী করা যাবে।
- অন্যান্য: গর্ভবতী, রোগাক্রান্ত, অন্ধ, একচোখ, অক্ষম, ভাঙা শিং এগুলো কুরবানী করা যাবে না।
কুরবানী করার সময়:
- সময়: ঈদুল আযহার দিন (১০ যিলহজ্ব) থেকে শুরু করে ঈদের তৃতীয় দিন (১২ যিলহজ্ব) সূর্যাস্ত পর্যন্ত কুরবানী করা যায়।
- স্থান: যেকোনো স্থানে কুরবানী করা যাবে, তবে নিরাপদ ও প্রশস্ত স্থানে করা উত্তম।
- উদ্দেশ্য: আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, তাঁর আনুগত্য প্রমাণ এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কুরবানী করা উচিত।
কুরবানী করার পদ্ধতি:
- বিসমিল্লাহ: পশু জবেহ করার আগে "বিসমিল্লাহ" বলতে হবে।
- মুখ কিবলামুখী: পশুকে কিবলার দিকে মুখ করে শোয়াতে হবে।
- ধারালো ছুরি: ধারালো ছুরি দিয়ে দ্রুত ও নিখুঁতভাবে পশুর খাদ্যনালী, শ্বাসনালী কেটে ফেলতে হবে।
- রক্তপাত: পশুর রক্ত পুরোপুরি বেরিয়ে যাওয়ার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
- চামড়া ছাড়ানো: পশুর চামড়া ছাড়িয়ে তা সংরক্ষণ করা উচিত।
- মাংসের ভাগ: মাংস তিন ভাগে ভাগ করে -এক ভাগ নিজেদের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনদের জন্য এবং এক ভাগ গরিব ও অভাবীদের জন্য।
কুরবানী কত ভাগে দেওয়া যাবে?
ছাগল বা খাসির এবং দুম্বার ক্ষেত্রে ১ ভাগে। অর্থাৎ, একটি ছাগল বা দুম্বা একজন কুরবানী দিতে পারবে। আর গরু, মহিষ, উটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭ ভাগে দেওয়া যায়। এই সম্পর্কে দুইটি হাদিস-
- কুরবানীর পশুতে প্রত্যেক অংশীদারের অংশ সমান হতে হবে। কারো অংশ অন্যের অংশ থেকে কম হতে পারবে না। যেমন কারো আধা ভাগ, কারো দেড় ভাগ। এমন হলে কোনো শরিকের কুরবানী শুদ্ধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৭)
- উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো পূর্ণসংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কুরবানী করা জায়েয। (মুসলিম, হাদিস: ১৩১৮; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৭)
কুরবানী করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা উচিত:
কুরবানী শুধুমাত্র পশু জবেহ নয়, বরং এটি ঈমানের প্রতিজ্ঞা, আত্মত্যাগের পরিচয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের একটি উন্নত মাধ্যম। ঈদুল আযহার এই পবিত্র দিনে কুরবানী করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ এবং সামর্থ্যবান মুসলিমদের উপর ওয়াজিব।
কুরবানীর গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বহু নির্দেশনা দিয়েছেন।
কুরআন হতে:
সূরা কাউছার: "তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং (পশু) কুরবানি কর।" (আয়াত ২)
সূরা হজ্জ: "নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে উটের মাংস ও তার গুণাবলী দিয়ে পরীক্ষা করবো। তোমরা তা থেকে কিছু খাও এবং কিছু দান করো।" (আয়াত ৩৬)
হাদিস হতে:
হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: "যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানি করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহের ধারে না আসে।" (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং: ২৩৫৭)
হজরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত: "কুরবানির পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি রয়েছে।" (মুসনাদে আহমদ, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
কুরবানীর ফজিলতের মধ্যে রয়েছে:
- আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ: কুরবানী আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি মাধ্যম। আল্লাহ আমাদেরকে সকল সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন, তাই আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে কুরবানী করি।
- আল্লাহর আনুগত্য প্রমাণ: কুরবানী আল্লাহর আনুগত্য প্রমাণের একটি মাধ্যম। আল্লাহ আমাদেরকে কুরবানী করার নির্দেশ দিয়েছেন, তাই আমরা তাঁর আদেশ পালন করে তাঁর প্রতি আনুগত্য প্রমাণ করি।
- আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ: কুরবানী আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের একটি মাধ্যম। আল্লাহ কুরবানীকে পছন্দ করেন, তাই কুরবানী করে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারি।
- গরিবদের সাহায্য: কুরবানীর মাংসের এক ভাগ গরিব ও অভাবীদের জন্য বিতরণ করা হয়। এটি গরিবদের সাহায্য করার একটি মাধ্যম।
- সামাজিক বন্ধন: কুরবানী সামাজিক বন্ধন স্থাপন ও শক্তিশালী করার একটি মাধ্যম। কুরবানীর মাংস আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের সাথে বিতরণ করা হয়।
- পাপের প্রায়শ্চিত্ত: কুরবানী পাপের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে কাজ করে।
- আখেরাতের জন্য নেক আমল: কুরবানী আখেরাতের জন্য নেক আমল হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকে।
কুরবানী শুধুমাত্র ধনীদের জন্য নয়, বরং সকল সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ওয়াজিব। কুরবানীর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা, আনুগত্য ও ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারি। এটি গরিবদের সাহায্য করার এবং সামাজিক বন্ধন শক্তিশালী করার একটি উত্তম উপায়।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি কুরবানী কি? কুরবানীর গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য কিছুটা হলেও জানাতে পেরেছেন। কুরবানী শুধু মাংস বিতরণ নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা যা কুরবানী করার মাধ্যমে আমরা আমাদের ঈমানকে শক্তিশালী করতে পারি।
এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি এই ধরনের তথ্য আরো জানতে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url