তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায় জেনে রাখুন
গরমে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব সামলানো কঠিন।তাই এ সময় তৈলাক্ত ত্বকে ধুলাময়লা আটকায় বেশি, ব্রণের প্রকোপও বেশি দেখা যায়। এই ধরনের ত্বকের জন্য কিছু বাড়তি যত্ন প্রয়োজন হয়ে থাকে। আপনি যদি তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন সম্পর্কে জানতে চান এবং তৈলাক্ত ত্বকের যত্নের সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের ত্বকের অভ্যন্তরে সেবাসিয়াস নামের এক ধরনের গ্রন্থি রয়েছে। সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে সিবাম নামে এক ধরনের পদার্থ উৎপন্ন হয়। এই সিবাম এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ হয়ে থাকে। এই সিবাম আমাদের ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। একমাত্র ত্বককে বাইরের ক্ষতি হতে রক্ষা করার জন্যই সিবাম উৎপন্ন হয়।
তাই মানুষ যখন রোদে বাহিরে যায়, তখন রোদে থাকা অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করতে শুরু করে। আর তখন ত্বককে রক্ষা করার জন্য সেবাসিয়াস গ্রন্থিতে বেশী পরিমাণে সিবাম উৎপন্ন হতে শুরু করে। যার ফলে ত্বক তৈলাক্ত হতে শুরু করে।যার কারণে লোমকূপে যখন ধুলাময়লা আটকায় থাকে তখন সিবাম বের হতে পারে না ভীতরেই জমে থাকে আর এই জমে থাকা সিবাম থেকেই তৈরি হয় ব্রণ।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা—যেকোনো ঋতুতেই ত্বক সুস্থ রাখতে প্রয়োজন সঠিক যত্নের। আর যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক, তাঁদের যেন ভোগান্তি একটু বেশিই। তাঁরাই বোঝেন এর যন্ত্রণা কতটা। রাস্তায় বেরোলেই মুখে ময়লা জমে একাকার। বাইরের ধুলা-ময়লা তৈলাক্ত ত্বকে আটকে গিয়ে দেখা দেয় নানা সমস্যা, এর মধ্যে ব্রণের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে বাইরের রাসায়নিকসমৃদ্ধ প্রসাধনীর চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদানগুলো বেশি কার্যকর।
তৈলাক্ত ত্বক এর যত্ন নেওয়ার জন্য মুখ সবসময় পরিষ্কার রাখুন। মধু, লেবু, অ্যালোভেরা বা শসা প্যাক বানিয়ে বা সেই ফলের রস বের করে মুখের মধ্যে লাগিয়ে রাখুন। যতক্ষণ না শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করুন।
আসুন জেনে নিই তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে ঘরোয়াভাবে তৈরি কিছু ফেসপ্যাক সম্পর্কে, যা তৈলাক্ত ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করে, ব্রণ কমিয়ে মুখে ফিরিয়ে আনবে উজ্জ্বলতা।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায়ে ফেসপ্যাক
মুখ পরিষ্কার রাখুন
- মুখ ধোয়া: দিনে দু'বার (সকাল ও রাতে) মুখ ধুয়ে ত্বকের অতিরিক্ত তেল অপসারণ করুন। তেলমুক্ত, হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা ভালো।
- টোনিং: অ্যালকোহলমুক্ত টোনার ব্যবহার করে ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণে রাখুন। টোনার ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ করতে সাহায্য করে।
- স্টিমিং: সপ্তাহে একবার মুখ স্টিম করলে ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে ময়লা ও জীবাণু দূর হয়।
বেসনের ফেসপ্যাক
বেসন হলো প্রাকৃতিক ফেসওয়াশ, যা মুখের তেলতেলে ভাব দূর করে চটজলদি উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ত্বকের দাগও দূর করে থাকে। ২ চামচ বেসন ও ৪ চামচ দুধ একসঙ্গে ভালো করে গুলিয়ে নিন। এবার এই পেস্ট মুখে, গলায় লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করুন। তারপর তফাতটা নিজেই দেখুন। আপনার ত্বক কতটা ফরসা আর তেলমুক্ত লাগছে।
ডিম, শসা ও পুদিনার প্যাক
ডিমের সাদা অংশ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ডিমের সাদা অংশ ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে এবং ত্বককে টানটান করতে সাহায্য করে। একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে শসার রস ও পুদিনাপাতার পেস্ট মিশিয়ে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। পুদিনার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান আপনার ত্বককে ব্রণমুক্ত রাখবে। এ ছাড়া শসা আপনার ত্বককে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখবে।
কমলার খোসার ফেসপ্যাক
মুখের অতিরিক্ত তেল কন্ট্রোল করতে কমলালেবুর খোসার জুড়ি নেই। ২ চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়া, ৪ চামচ দুধ, ১ চামচ কাঁচা হলুদবাটা একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। কমলালেবুর খোসা শুধু অতিরিক্ত তেলই কন্ট্রোল করবে না, আপনার ত্বককে করে তুলবে গ্লোয়িং। সপ্তাহে এক বা দুদিন ব্যাবহার করুন।
কাঁচা হলুদবাটা, চালের গুঁড়া, কমলার খোসার গুঁড়া এবং সামান্য মসুর ডালবাটা একসঙ্গে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বককে টানটান করবে।
পাকা কলার ফেসপ্যাক
পাকা কলা তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। পাকা কলা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য আর কোমলতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। লেবুর রস ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে। মধু হলো প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যা দূর করে ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে।
১টি পাকা কলা, ২ চা-চামচ পাতি লেবুর রস, ১ চা-চামচ মধু নিন। কলার খোসা ছাড়িয়ে সেটিকে ভালো করে চটকে এর সঙ্গে মধু আর পাতি লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করুন। এই পেস্ট হাতে, মুখে ও গলার ত্বকে ভালো করে মেখে নিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে একটি নরম তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছে নিন। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার এই প্যাক ব্যবহার করতে পারলে খুব ভালো ফল পাওয়া যাবে।
শসার ফেসপ্যাক
শসা খুব ভালো টোনারের কাজ করে। ত্বকের ভেতরের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে ও ত্বককে ভেতর থেকে ফ্রেশ রাখে। ২ টেবিল চামচ শসার পেস্ট, ১ চা-চামচ গোলাপজল ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস নিয়ে নিন। একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাকটি মুখে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। এটা রোজও করতে পারেন। তাহলে খুব ভালো তেল কন্ট্রোল হবে। আর রোজ সময় না থাকলে সপ্তাহে তিন দিন করুন। আপনার ত্বক থাকবে ফ্রেশ ও তেলমুক্ত।
লেবুর রস ও মধুর ফেসপ্যাক
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে লেবু সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া উপাদান, লেবুতে উপস্থিত সাইট্রিক অ্যাসিড তৈলাক্ত ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে ত্বকে পিম্পল হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। ১ টেবিল চামচ তাজা লেবুর রসের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু নিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে গাঢ় লিকুইড তৈরি করুন ।
লেবুর রস ও মধুর এই লিকুইড ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনার ত্বককে ধুয়ে ফেলুন।এই প্যাক ব্যবহারে ত্বকে ব্রণ কমে আসবে, ব্রণের দাগ হালকা হতে শুরু করবে এবং আপনার ত্বকও উজ্জ্বল হবে। তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ প্রতিরোধে এই প্যাক সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী ফেসপ্যাক
ত্বকের সৌন্দর্য্য বজায় রাখতে ও তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে অ্যালোভেরার জুড়ি মেলা ভার। অ্যালোভেরার মধ্যে থাকা উপাদানগুলো ত্বকের শুষ্কতা বজায় রাখে, ত্বক পরিষ্কার রাখে ও ত্বককে তৈলাক্ততা হতে রক্ষা করে। একটি অ্যালোভেরা গাছের পাতা নিয়ে সেখান হতে অ্যালোভেরা জেল বের করতে হবে। অ্যালোভেরা জেল বের হয়ে গেলে সেই জেল সরাসরি মুখের মধ্যে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর শুকিয়ে গেলে সেটি টাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
বি: দ্র: আপনার ত্বক যদি অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে থাকে তাহলে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে বিরত থাকুন। সংবেদনশীলতা বোঝার জন্য অ্যালোভেরা হাতে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন, তারপর ধুয়ে নিন। সারাদিনের মধ্যে ত্বকে কোন প্রতিক্রিয়া না দেখলে তারপর মুখের মধ্যে অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে টমেটো ব্যবহার করুন
ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য টমেটোর চেয়ে আর ভালো মাধ্যম হতেই পারে না। আপনার ত্বকের মধ্যে জমে থাকা তেল ও ত্বকের লোমকূপে জমে থাকা তেল পরিষ্কার করতে টমেটো দারুণ কার্যকরী। টমেটোর এই গুনের কারণে ত্বকের যত্নে টমেটো অনেক ব্যবহার হয়ে থাকে। ১টি টমেটো নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে সেই টমেটোর পেস্ট টি মুখের মধ্যে আলতোভাবে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। ম্যাসাজ শেষে টমেটো এর পেস্ট টি লাগিয়ে রাখতে হবে। যতক্ষণ না শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া স্ক্রাব
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন স্ক্রাব। স্ক্রাবটি তৈরি করতে প্রয়োজন হবে ১টি শসা, ১ টেবিল চামচ ওটমিল ও ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরার জেল। প্রথমে শসা পেস্ট করুন। ওটমিল ও শসা একসঙ্গে মেশান। অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে নিন মিশ্রণে। পেস্টটি ধীরে ধীরে ঘষুন ত্বকে। ১০ মিনিট ঘষে আরও ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে নিন। ১ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ ডিমের সাদা অংশ মেশান। ভালো করে ফেটিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। আধা চা চামচ বেকিং সোডা ও ১ টেবিল চামচ দই একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে ঘষে ঘষে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এছাড়াও মুলতানি মাটি, লেবু, কমলার খোসা, শসা, টকদই ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন ফেসপ্যাক হিসেবে। এটি প্রাকৃতিকভাবে ত্বক পরিষ্কার রাখতেও কার্যকর। ঠান্ডা ভিনেগার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই কার্যকর। পানি ও ভিনেগারের মিশ্রণ ঠান্ডা করে তুলার সাহায্যে ত্বকে লাগান। বরফ তৈরি করেও ত্বকে ঘষতে পারেন।
অন্যান্য টিপস:
- ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: তেলমুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখুন।
- সানস্ক্রিন ব্যবহার: প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করে ত্বককে রোদের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি বা UV রশ্মি থেকে রক্ষা করুন।
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন: প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন ত্বকের ভেতর থেকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান: ফল, শাকসবজি, এবং শস্যযুক্ত খাবার বেশি খান। তেলযুক্ত, মশলাযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
- স্ট্রেস কমান: ধ্যান, যোগব্যায়াম ইত্যাদির মাধ্যমে স্ট্রেস কমান।
- মেকআপ: অয়েল-ফ্রি মেকআপ ব্যবহার করুন। ঘুমানোর আগে অবশ্যই মেকআপ তুলে ফেলুন।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটিতে, তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায় উপায় সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য কিছুটা হলেও জানতে পেরেছেন। প্রাকৃতিক উপাদানগুলো দিয়ে খুব সহজেই ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করা যায়। ভালো ফলাফল পেতে এক দিন পরপর বা প্রতিদিনই এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। মনে রাখবেন, প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে রাতারাতি পরিবর্তন কখনো সম্ভব নয়। তাই নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকুন।
এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি এই ধরনের তথ্য আরো জানতে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url