ইলেকট্রিক শকের পরিস্থিতিতে দ্রুত ও সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ – বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে বাঁচাতে সাহায্য করুন
আমাদের দেশে যত পোড়া রোগী দেখা যায়, তাদের একটা বড় অংশই হচ্ছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (ইলেকট্রিক শক) হয়ে থাকে। ইলেকট্রিক শক হলো একটি জীবনঘাতী বিপদ, যা অবহেলাবশত বা দুর্ঘটনাবশত ঘটতে পারে। বিদ্যুৎ প্রবাহের সাথে শরীরের সংস্পর্শে আসার ফলে এই শক হয়, যা হৃদস্পন্দন বন্ধ করে দেওয়া, শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করা এবং গুরুতর জখমের কারণ হতে পারে।
ইলেকট্রিক শকের পরিস্থিতিতে দ্রুত ও সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরূরি। তাহলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (ইলেকট্রিক শক) ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব হয়ে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলটিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (ইলেকট্রিক শক) হলে কী করবেন, কীভাবে এর প্রতিরোধ করা যায় এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে বাঁচাতে সাহায্য করা যায়,সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (ইলেকট্রিক শক) কীভাবে হয়
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পিছনে মূল কারণ হলো মানুষের শরীরের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়া। যখন কোনো ব্যক্তি বিদ্যুৎ সরবরাহের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে সংস্পর্শে আসে, তখন এই ঘটনা ঘটতে পারে।
আরো পড়ুনঃ মৃগীরোগ: কারণ, ধরন, লক্ষণ এবং আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার কারণগুলি হলো:
- পুরনো, ক্ষতিগ্রস্ত বা খোলা তারের সঙ্গে স্পর্শ করা।
- ভিজা হাতে সুইচ চালানো, ভিজা মাটিতে দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎ যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা ইত্যাদি।
- খোলা সকেট, লুজ তার ইত্যাদি স্পর্শ করা।
- বৈদ্যুতিক সংযোগগুলো নিরাপদ না হলে।
- বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে।
- বিদ্যুৎ লাইনের মেরামত বা অন্য কোনো কাজ করার সময় সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেওয়া।
- ঝড়বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ লাইন ছিঁড়ে পড়লে বা ভেজা মাটিতে পড়লে বিপদ বাড়ে।
- বাসায় বাচ্চারা অনেক সময় খোলা তার মুখে এবং প্লাগে হাত দিয়ে থাকে।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার উপসর্গগুলি
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই উপসর্গগুলি বিদ্যুৎ প্রবাহের মাত্রা, সময়কাল এবং শরীরের কোন অংশে আঘাত লেগেছে তার উপর নির্ভর করে।
- বিদ্যুৎ প্রবাহের সরাসরি সংস্পর্শে আসা স্থানে গভীর পোড়া লাগতে পারে।
- পোড়া জায়গায় তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
- আক্রান্ত স্থানে সন্নিবেশ বা অবশতা অনুভূত হতে পারে।
- বিদ্যুৎ শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
- বিদ্যুৎ হৃদপিণ্ডের কার্যকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
- গুরুতর ক্ষেত্রে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তি চেতনা হারাতে পারে।
- বিদ্যুৎ মস্তিষ্ককেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- বিদ্যুৎ মাংসপেশিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে দুর্বলতা, ক্র্যাম্প এবং মাংসপেশিতে ব্যথা হতে পারে।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে ত্বকে কী ধরনের ‘বার্ন’ হতে পারে
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে ত্বকে বার্ন বা পোড়া লাগতে পারে। এই বার্নের ধরন বিদ্যুৎ প্রবাহের মাত্রা, সময়কাল এবং শরীরের কোন অংশে স্পর্শ হয়েছে তার উপর নির্ভর করে। সাধারণত বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ফলে তিন ধরনের বার্ন হতে পারে:
আরো পড়ুনঃ মাথাব্যথা আর নয়: ঘরোয়া প্রতিকার দিয়ে পান স্বস্তি, জানুন বিভিন্ন ধরনের মাথাব্যথার কারণ
১. ত্বকের উপরিভাগ পোড়া বা সুপারফিশিয়াল বার্ন
- লক্ষণ: চামড়া লাল ও শুকনো হয়ে যায়। অনেক ব্যথা থাকে। চামড়ায় ঘষা দিলে সাদা হয়ে যায়।
- কারণ: বিদ্যুৎ প্রবাহের তীব্রতা কম হলে এই ধরনের বার্ন হয়।
২. পারশিয়াল থিকনেস বার্ন
- লক্ষণ: এখানে ত্বকের উপরিভাগের দুটি স্তর পুড়ে যায়, ফলে ফোসকা পড়ে।
- কারণ: বিদ্যুৎ প্রবাহের তীব্রতা সুপারফিশিয়াল বার্নের চেয়ে বেশি হলে এই ধরনের বার্ন হয়।
৩. ফুল থিকনেস বার্ন
- লক্ষণ: ত্বকের সব স্তর পুড়ে যায়, ফলে কোনো স্পর্শ বা ব্যথা অনুভূত হয় না। এ ক্ষেত্রে চামড়া কালো হয়ে যায়।
- কারণ: বিদ্যুৎ প্রবাহের তীব্রতা এবং সময়কাল বেশি হলে এই ধরনের বার্ন হয়।
বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ফলে অন্যান্য ক্ষতি
- হৃৎপিণ্ড: হৃৎস্পন্দন এলোমেলো হয়ে যায়। অনেক সময় বন্ধ হয়ে যায়, একে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে।
- মস্তিষ্কের ক্ষতি: মস্তিষ্কের কোষগুলো বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যার ফলে স্মৃতিশক্তি হারানো, চিন্তা করার ক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- স্নায়ুর ক্ষতি: বিদ্যুৎ প্রবাহ স্নায়ুকোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে প্যারালাইসিস বা অনুভূতিহীনতা হতে পারে।
- অন্ত্রের ক্ষতি: বিদ্যুৎ প্রবাহ অন্ত্রের ক্ষতি করে, যার ফলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- মূত্রনালীর ক্ষতি: বিদ্যুৎ প্রবাহ মূত্রনালীর ক্ষতি করে, যার ফলে মূত্রত্যাগে সমস্যা হতে পারে।
- মাংসপেশি: যদি মাংসপেশি অনেক বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তখন র্যাবডোমায়োলাইসিস হয়, যা অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে। অনেক সময় কিছু মাংসপেশির প্রেশার বেড়ে গিয়ে কম্পার্টমেন্ট সিনড্রোম হয়ে যায়, তখন আক্রান্ত হাত অথবা পা কেটে ফেলতে হয়।
এ ছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির স্নায়ুর ওপর চাপ তৈরি, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, আক্রান্ত স্থান অথবা পুরো শরীর অবশ হয়ে যেতে পারে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসা: জীবন বাঁচাতে জরুরি পদক্ষেপ
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া একটি জীবননাশক ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত ও সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
- কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে কোনোভাবেই তার সংস্পর্শে আসা যাবে না বা তার গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। প্রথমে বিদ্যুতের উৎস বন্ধ করতে হবে। অর্থাৎ বাসা বা কারখানার বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করতে হবে।
- কাঠ বা প্লাস্টিকের লাঠিজাতীয় কিছু দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিদ্যুতের উৎস থেকে আলাদা করতে হবে। কোনোভাবেই ধাতব কিছু ব্যবহার করা যাবে না। আক্রান্ত ব্যক্তিকে জোরে আঘাত করা যাবে না।
- নিরাপদ স্থানে নেওয়ার পর আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস ও পালস পরীক্ষা করতে হবে। যদি না থাকে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সিপিআর বা কৃত্রিম শ্বাস চালু করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
- যদি ত্বক সামান্য পোড়া হয়, তাহলে আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় জড়িয়ে দিতে হবে। বরফ দেওয়া যাবে না।
- ডাক্তারের পরামর্শমতো ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট লাগাতে হবে।
- ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে।
- মারাত্মক পোড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিবায়োটিক বা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ আপনার দীর্ঘস্থায়ী পিঠের ব্যথা – কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া একটি গুরুতর বিষয়। দ্রুত ও সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে অনেকের জীবন বাঁচানো সম্ভব।
ইলেকট্রিক শক প্রতিরোধের উপায়
ইলেকট্রিক শক একটি গুরুতর বিপদ। তবে সতর্কতা অবলম্বন করে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। আসুন জেনে নিই কীভাবে:
- নিয়মিত পরিদর্শন: বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, তার, প্লাগ, সকেট ইত্যাদি নিয়মিত পরিদর্শন করুন। কোনো ক্ষতিগ্রস্ত জিনিসপত্র দেখলে তা দ্রুত মেরামত করান।
- ভেজা হাতে স্পর্শ না করা: গোসল করার সময়, হাত ধোয়ার সময় বা অন্য কোনো ভেজা অবস্থায় বৈদ্যুতিক সুইচ, প্লাগ ইত্যাদি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
- ওভারলোড এড়ানো: একই সকেটে একাধিক প্লাগ লাগিয়ে ওভারলোড করবেন না।
- ক্ষতিগ্রস্ত তার ব্যবহার না করা: ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনারসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রের তার যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা দ্রুত মেরামত করান।
- পানির কাছে যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করা: টেলিভিশন, মোবাইল চার্জার ইত্যাদি পানির কাছে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
- বৈদ্যুতিক কাজ নিজে না করা: যদি বৈদ্যুতিক কোনো সমস্যা হয়, তাহলে দক্ষ কারিগরকে ডাকুন।
- ইনসুলেশন যাচাই করা: বৈদ্যুতিক তারের ইনসুলেশন যাতে ভালো থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
- ঝড়বৃষ্টির সময় সতর্কতা: ঝড়বৃষ্টির সময় বাইরে বের হলে বিদ্যুৎ লাইন, খুঁটি ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
- ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুতের তার দেখলে: যদি কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুতের তার দেখেন, তাহলে বিদ্যুৎ বিভাগকে খবর দিন।
- পানিতে পড়া বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি স্পর্শ না করা: যদি কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি পানিতে পড়ে যায়, তাহলে তা স্পর্শ না করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করুন।
- শিশুদের সচেতন করা: শিশুদেরকে বৈদ্যুতিক শকের বিপদ সম্পর্কে সচেতন করুন।
- প্লাগ কভার ব্যবহার করা: সকেটে প্লাগ কভার ব্যবহার করুন যাতে শিশুরা প্লাগে আঙুল না দেয়।
মনে রাখবেন, ইলেকট্রিক শক একটি মারাত্মক বিপদ। সামান্য অসাবধানতাও বড় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারে। তাই সবসময় সতর্ক থাকুন এবং নিরাপত্তা বিধি মেনে চলুন।
লেখক এর শেষ কথা
ইলেকট্রিক শক একটি জীবননাশক বিপদ যা অকস্মাৎ ঘটতে পারে। বিদ্যুৎ প্রবাহের সাথে অপ্রত্যাশিত সংস্পর্শে আসার ফলে এই শক সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে হৃদস্পন্দন বন্ধ, শ্বাসকষ্ট এবং গুরুতর জখম সহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে দ্রুত ও সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরূরি। কেননা সতর্কতা অবলম্বন করে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর
১. ইলেকট্রিক শকের প্রাথমিক চিকিৎসা কি?
CPR শুরু করুন যদি ব্যক্তি সঞ্চালনের কোনো লক্ষণ না দেখায়, যেমন শ্বাস, কাশি বা নড়াচড়া। আহত ব্যক্তিকে ঠাণ্ডা হওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন। একটি ব্যান্ডেজ প্রয়োগ করুন। যেকোন পোড়া জায়গাকে জীবাণুমুক্ত গজ ব্যান্ডেজ, যদি পাওয়া যায়, বা একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন।
২. কাউকে স্পর্শ করলে ইলেকট্রিক শক লাগে কেন?
যখনই দুটি পদার্থ একে অপরের সংস্পর্শে থাকে তখনই স্থির বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় । সমস্ত পদার্থ বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত পরমাণু দ্বারা গঠিত। মহাবিশ্বে সমান পরিমাণে ঋণাত্মক বৈদ্যুতিক চার্জ (ইলেকট্রন) এবং ধনাত্মক চার্জ (প্রোটন) রয়েছে। এগুলি সাধারণত প্রতিটি স্থানে ভারসাম্য বজায় রাখে।
৩. শরীরে ইলেকট্রিক শক কেন হয়?
আপনার শরীরের কোনো অংশ যদি লাইভ বিদ্যুতের সাথে মিলিত হয় তবে টিস্যুগুলির মধ্য দিয়ে বৈদ্যুতিক প্রবাহ প্রবাহিত হয় , যা বৈদ্যুতিক শক সৃষ্টি করে। লোকেরা কখনও কখনও এটিকে ইলেকট্রিকশন বলে।
৪. ইলেকট্রিক শকের পর দুধ খাওয়া যাবে কি?
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিক চিকিৎসার একটি ফর্ম হিসাবে বৈদ্যুতিক শকের শিকারদের দুধ দিতে ছুটে যাওয়ার অভ্যাসের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন, জোর দিয়ে বলেছেন যে এটি অকার্যকর এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
৫. ইলেকট্রিক শক খেলে কি মৃগী রোগ হয়?
একটি ডেনিশ কোহর্ট সমীক্ষা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে বৈদ্যুতিক শকের শিকার ব্যক্তিদের সিএনএস সিক্যুলা হতে পারে যার মধ্যে রয়েছে মৃগীরোগ, পারকিনসন্স ডিজিজ এবং অ্যামায়োট্রফিক ল্যাটেরাল স্ক্লেরোসিস (ALS) হওয়ার ঝুঁকি , বৈদ্যুতিক শকের পরে একটি উল্লেখযোগ্য সময় প্রথমবারের মতো প্রকাশ পায়।
৬. ইলেকট্রিক শকের কতদিন পর ঝিনঝিন থাকে?
সাধারণত, কয়েক মিনিটের মধ্যে এই ঝনঝনানি চলে যায়। যদি আপনার ত্বকের ক্ষতি না হয় বা অন্যান্য উপসর্গ না থাকে তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। যদি আপনার ত্বক বিদ্যুৎ দ্বারা পুড়ে যায়, তবে উদ্বেগের কারণ রয়েছে।
৭. ইলেকট্রিক শক খেলে কি স্ট্রোক হয়?
আঘাতের তীব্রতা কারেন্টের ধরন এবং শক্তির উপর নির্ভর করে এবং এটি একটি সবেমাত্র বোধগম্য ঝনঝন সংবেদন থেকে তাত্ক্ষণিক মৃত্যু পর্যন্ত। যদিও বেশ কিছু স্নায়বিক আঘাতের আগে বর্ণনা করা হয়েছে, তড়িৎ আঘাতের কারণে তীব্র স্ট্রোক শুধুমাত্র কয়েকটি ক্ষেত্রে রিপোর্ট করা হয়েছে ।
এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি এই ধরনের তথ্য আরো জানতে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url