অনলাইন প্যাসিভ ইনকাম কি? অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করার জন্য সেরা ১০টি উপায়
অনেকর একটি চাওয়া থাকে যে চাকরি পাশাপাশি কিংবা পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের ২য় একটা উৎস থাকলে কতই না ভালো হত। আর সেটা যদি প্যাসিভ ইনকাম হয় তাহলে ত আর কথাই নেই। প্যাসিভ ইনকাম আয়ের এমন একটি উৎস যেখানে এক্টিভ ইনকামের মত সবসময় বা নিয়মিত ভাবে কাজ করার প্রয়োজন হয় না, কেননা একবার ভালভাবে কাজ করলে প্রতি মাসে সেখান থেকেইনকাম আসতে থাকবে।
তাই আজকাল অনেকেই অনলাইনে প্যাসিভ ইনকামের দিকে ছুটছে। অনলাইন প্যাসিভ ইনকাম করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। সঠিক গাইডলাইন মেনে সঠিক মার্কেটপ্লেসে কাজ করলে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা অনলাইন প্যাসিভ ইনকাম করা ব্যপারই হবে না।
প্যাসিভ ইনকাম কি? কিভাবে করবেন প্যাসিভ ইনকাম? কোন ধরনের কাজ থেকে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়? প্যাসিভ ইনকামের সেরা ১০টি মাধ্যেম নিয়ে আজকে আলোচনা করব। এই ১০টি কাজের মধ্যে যেকোনো ১টি কাজ কেও শিখে ভালোভাবে করতে পারলে খুব সহজে প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব হবে। কিন্তু এর জন্য অবশ্যই আপনার কাজ শিখার এবং কাজ করার সৎ ইচ্ছা অবশ্যই থাকতে হবে।
অনলাইন প্যাসিভ ইনকাম কি?
ইনকাম দুই ভাবে করা যায় Active Income আর Passive Income। অনলাইন প্যাসিভ ইনকাম হল এমন এক ধরনের আয় যা আপনি একবার একটি কাজ করে রাখলে, সেটি আপনার জন্য কাজ করে চলতে থাকে। আপনাকে প্রতিদিন সেই কাজে সময় দিতে হবে না। যেমন, আপনি একবার একটি বই লিখে পাবলিশ করে দিলে, সেটি বিক্রি হওয়া চালু থাকবে এবং আপনি ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায়ও ইনকাম করতে পারবেন।
একেবারে সহজ করে বললে: ধরুন, আপনি একবার একটি ইবুক লিখেছেন এবং সেটি অনলাইনে বিক্রি করছেন। এখন, প্রতিবার কেউ যখন সেই ইবুকটি কিনবে, আপনি টাকা পাবেন। আপনাকে তখন আর সেই ইবুকটি লিখতে বসে থাকতে হবে না।
Active Income কি?
Active Income হচ্ছে কাজ করলে টাকা আসবে আর কাজ না করলে টাকা নেই। আপনি যতক্ষণ কাজ করতে পারবেন,যতক্ষণ সময়, শ্রম দিতে পারবেন ততক্ষণ আপনার আয় আসবে। আপনি অসুস্থ,কাজ করতে পারছেন না, আপনার ইনকাম বন্ধ হয়ে শূন্য হয়ে যাবে। একটিভ ইনকামের জন্য আপনাকে অন্যের আন্ডারে কাজ করতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে অফিসে যেতে হবে এবং মাস শেষে আপনি নিদিষ্ট Amount এর টাকা পাবেন। Active Income এ টাকার পরিমাণ লিমিট থাকে।
কেন অনলাইন প্যাসিভ ইনকাম আজকের সময়ে এত জনপ্রিয়?
- ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা ছাড়াই যেকোন সময়, যেকোন স্থান থেকে আয় করা সম্ভব।
- একাধিক আয়ের উৎস সৃষ্টি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া সহজতর হয়।
- একবার স্থাপিত হলে, প্যাসিভ ইনকামের উৎস দীর্ঘমেয়াদী আয়ের একটি নিশ্চিত স্রোত হিসেবে কাজ করতে পারে।
- নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত, ডিজিটাল যুগে প্যাসিভ ইনকামের সম্ভাবনা প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্যাসিভ ইনকাম কেন প্রয়োজন?
আমাদের সবার জীবনে টাকার প্রয়োজন। টাকার প্রয়োজন নেই এমন মানুষ আজকাল খুঁজে পাওয়া যাবে না। বর্তমান সমাজ সভ্যতার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলতে হলে আপনাকে টাকা ইনকাম করতেই হবে। কোন ইনকাম সহজ নয়, তবে অন্য সকল ইনকাম থেকে প্যাসিভ ইনকাম এর বিশেষ কিছু সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে বিশেষ সুবিধা হল এখানে আপনাকে সবসময় কাজ করতে হবে না। একটি নিদিষ্ট সময় কাজ করে সব কিছু সাজিয়ে রাখলে সেখান থেকে ইনকাম আসতে থাকবে। আপনার রেগুলার ইনকামের সাথে প্রতি মাসে এক্সট্রা আরও কিছু ইনকাম অ্যাড হলে সেটা আপনার ভবিষ্যতের জন্য সুফল বয়ে নিয়ে আসবে।
কিভাবে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করবেন?
প্যাসিভ ইনকাম কি? প্যাসিভ ইনকাম কেন প্রয়োজন আশা করি এত সময়ে বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে শুরু করবেন প্যাসিভ ইনকাম। আসলে প্যাসিভ ইনকাম করার কিন্তু নানা মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্যে থেকে আমি আপনাকে বেস্ট ১০টি মাধ্যম সম্পর্কে বলব এবং এই মাধ্যম গুলাতে যদি প্রফেশনালভাবে কাজ করতে পারেন, তাহলে প্রতি মাসে আপনার প্যাসিভলি ১০০০-৫০০০ ডলার ইনকাম করা কোন ব্যাপারই হবে না।
অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করার জন্য সেরা ১০টি উপায়
অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করার বিষয়টি আজকাল অনেকেরই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। কম পরিশ্রমে নিয়মিত আয়ের একটি অতিরিক্ত উৎস হিসেবে এটি অনেকের কাছেই আকর্ষণীয়। আসুন জেনে নিই অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করার সেরা ১০টি উপায়:
১. ব্লগিং ও ভিডিও ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম
ব্লগিং এবং ভিডিও ব্লগিং বর্তমান সময়ে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকামের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রতিষ্ঠিত মাধ্যম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। একটি সফল ব্লগ বা ভিডিও চ্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে ব্যক্তিরা তাদের জ্ঞান, দক্ষতা এবং আগ্রহকে মূদ্রায় রূপান্তর করতে পারে। আর এখনত চাইলে ১০০% ফ্রিতে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় কোন কোডিং ঝামেলা ছাড়াই।
এছাড়াও চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে খুব কম সময়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। কোন রকম প্রোগ্রামিং ও কোডিং জানতে হবে না। সামান্য কিছু ইনভেস্ট করলে খুবই আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারবেন নিজেই। চাইলে আপনার লেখা ব্লগে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক যুক্ত করে সেখান থেকে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি দুই ভাবে ইনকাম করতে পারবেন ওয়েবসাইটে Google Adsense অ্যাড করার মাধ্যমে আবার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক যুক্ত করে।
সফল ব্লগিং ও ভিডিও ব্লগিং এর জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান:
- আপনার পছন্দ এবং দক্ষতার বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট নিকেত নির্বাচন করুন এবং সেই নিকেতকে কেন্দ্র করে কন্টেন্ট তৈরি করুন।
- নিয়মিত এবং মানসম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরি করুন যা আপনার দর্শকদের আকর্ষণ করবে এবং তাদেরকে আপনার সাথে যুক্ত রাখবে।
- আপনার কন্টেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনে সহজে খুঁজে পাওয়ার জন্য SEO (Search Engine Optimization) কৌশল ব্যবহার করুন।
- আপনার কন্টেন্টকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রচার করে আপনার দর্শকদের সংখ্যা বাড়ান।
- আপনার ব্লগের সাবস্ক্রাইবারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে ইমেইল মার্কেটিং ব্যবহার করুন।
- প্যাসিভ ইনকাম তৈরি করতে সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন। নিয়মিত কাজ করে চলুন এবং হাল ছেড়ে দেবেন না।
ব্লগিং এবং ভিডিও ব্লগিং একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম যা আপনাকে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। সঠিক পরিকল্পনা, কঠিন পরিশ্রম এবং ধৈর্যের মাধ্যমে আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন।
২. ইবুক প্রকাশের মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম
ইবুক প্রকাশ বর্তমান সময়ে প্যাসিভ আয়ের একটি জনপ্রিয় ও কার্যকর মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ডিজিটাল যুগে পাঠকদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি, এটি স্ব-প্রকাশিত লেখকদের জন্য নিজেদের সৃষ্টিশীলতা প্রকাশের একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ করে।
ইবুক প্রকাশের মাধ্যমে প্যাসিভ আয় অর্জনের প্রক্রিয়া:
- বিষয় নির্বাচন ও গবেষণা: লেখককে প্রথমেই একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা নিশা নির্বাচন করতে হয় যেখানে তাদের বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতা রয়েছে। এরপর বিস্তৃত গবেষণার মাধ্যমে নিশাটির বাজার চাহিদা, প্রতিযোগিতা এবং লক্ষ্যশ্রোতার প্রোফাইল নির্ধারণ করতে হয়।
- পান্ডুলিপি রচনা: গবেষণার ভিত্তিতে একটি সুসংগত ও আকর্ষণীয় পান্ডুলিপি রচনা করতে হয়। এতে স্পষ্ট ভাষা, সঠিক ব্যাকরণ ও বানান এবং উপযুক্ত উদাহরণ ব্যবহার করা জরুরি।
- ইবুক ফরম্যাট: পান্ডুলিপিকে একটি আকর্ষণীয় ও পড়ার সুবিধাজনক ইবুক ফরম্যাটে রূপান্তরিত করতে হয়। এতে বিভিন্ন ধরনের ফন্ট, ছবি, চার্ট এবং গ্রাফ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- প্রকাশন: ইবুককে বিভিন্ন ইবুক প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করা হয়। অ্যামাজন কিন্ডল ডাইরেক্ট পাবলিশিং, বাংলাদেশের বারকোড বুকস এবং নুলিড এরকম কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।
- মার্কেটিং ও বিক্রয়: প্রকাশের পর ইবুকটির ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং, ব্লগিং এবং পেইড অ্যাডভার্টাইজিং এর মাধ্যমে ইবুকটির বিষয়ে লোকজনকে অবহিত করা হয়।
ইবুক প্রকাশন, লেখকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় ও সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার পথ হতে পারে। যদি আপনার কোনো বিষয়ে গভীর জ্ঞান থাকে এবং লেখার প্রতি আগ্রহ থাকে, তাহলে ইবুক প্রকাশ করে আপনি আপনার জ্ঞানকে অন্যদের সাথে ভাগ করে নিতে পারেন এবং একই সাথে একটি প্যাসিভ আয়ের উৎস তৈরি করতে পারেন।
৩. অনলাইন কোর্স তৈরি করে প্যাসিভ ইনকাম
অনলাইন শিক্ষার বর্ধমান জনপ্রিয়তার সাথে, অনলাইন কোর্স তৈরি করে প্যাসিভ ইনকাম একটি আকর্ষণীয় পথ হিসেবে উঠে এসেছে। একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে আপনার জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে, আপনি একটি অনলাইন কোর্স তৈরি করে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করতে পারেন এবং একই সাথে একটি স্থায়ী আয়ের উৎস তৈরি করতে পারেন।
কোর্স তৈরির প্রাথমিক ধাপগুলি:
- বিষয় নির্বাচন ও লক্ষ্যশ্রোতা নির্ধারণ: কোন বিষয়ে আপনি সর্বাধিক দক্ষ? সেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এমন একটি কোর্স তৈরি করুন যার জন্য বাজারে চাহিদা রয়েছে। আপনার লক্ষ্যশ্রোতা কারা? তাদের প্রয়োজন ও আকাঙ্ক্ষা কী? এই প্রশ্নগুলির সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা কোর্সের সফলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- কোর্স স্ট্রাকচার: কোর্সটি কতটি মডিউলে বিভক্ত হবে, প্রতিটি মডিউলে কী শিখানো হবে, কোন ধরনের কনটেন্ট থাকবে (ভিডিও, অডিও, পিডিএফ, ইত্যাদি) - সবকিছু পূর্ব পরিকল্পনা করা জরুরি। একটি সুসংগত ও কার্যকরী কোর্স স্ট্রাকচার শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা উন্নত করবে।
- কনটেন্ট তৈরি: ভিডিও হাই কুয়ালিটির হওয়া উচিত, অডিও পরিষ্কার শোনা যাবে এবং পিডিএফ ফাইল সুবিন্যস্ত হওয়া জরুরি। কনটেন্ট যত বেশি মানসম্পন্ন হবে, তত বেশি লোক আপনার কোর্স কিনতে আগ্রহী হবে।
- প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন: Udemy, Coursera, Teachable, Thinkific ইত্যাদি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে থেকে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন। এই প্ল্যাটফর্মগুলি আপনাকে কোর্স প্রকাশ, মার্কেটিং এবং বিক্রয়ের সুযোগ প্রদান করে।
- মার্কেটিং ও বিক্রয়: আপনার কোর্সটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং, পেইড অ্যাডভার্টাইজিং ইত্যাদি ব্যবহার করুন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) ও কীওয়ার্ড রিসার্চ আপনার কোর্সকে সার্চ ইঞ্জিনে শীর্ষে আনতে সাহায্য করবে।
অনলাইন কোর্স তৈরি করে প্যাসিভ ইনকাম অর্জন একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং স্থায়ী আয়ের উৎস হতে পারে। তবে সফল হতে হলে ধৈর্য্য, পরিশ্রম এবং নিবেদিততা প্রয়োজন। আপনার দক্ষতা ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে মানুষের জীবনকে উন্নত করার পাশাপাশি আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করুন।
৪. অ্যাপ তৈরি করে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম
অ্যাপ তৈরি করে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করা এক দুর্দান্ত উপায়। একবার অ্যাপটি তৈরি করে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে প্রকাশ করলে, সেটি থেকে আপনি নিয়মিত আয় করতে পারবেন। এমনকি আপনি ঘুমিয়ে থাকাকালীনও আপনার অ্যাপ থেকে আয় আসতে থাকবে।
একটি সফল অ্যাপ তৈরির প্রক্রিয়া:
- আইডিয়া জেনারেশন ও বাজার গবেষণা: একটি অনন্য ও সমস্যা সমাধানকারী অ্যাপ আইডিয়া খুঁজুন। লক্ষ্যবাজারের চাহিদা, প্রতিযোগীদের বিশ্লেষণ এবং বাজারের প্রবণতাগুলো বিবেচনা করুন।
- অ্যাপ ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট: ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস এবং স্বজ্ঞাত ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতা (UX) নিশ্চিত করুন।প্রয়োজনীয় ফাংশনালিটিগুলি যোগ করুন এবং কোডের গুণমান নিশ্চিত করুন। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম (iOS, Android, ওয়েব) এর জন্য অ্যাপটি অপ্টিমাইজ করুন।
- পরীক্ষণ ও উন্নয়ন: বিটা টেস্টিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ফিডব্যাক সংগ্রহ করুন। বাগ সংশোধন করুন এবং অ্যাপের পারফরম্যান্স উন্নত করুন।
- অ্যাপ স্টোরে প্রকাশ: গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের নির্দেশিকা অনুসরণ করে অ্যাপটি প্রকাশ করুন।আকর্ষণীয় অ্যাপ আইকন, স্ক্রিনশট এবং একটি বিস্তারিত ডেসক্রিপশন যোগ করুন।
- মার্কেটিং ও প্রচার: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO), পেইড অ্যাডভার্টাইজিং এবং ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অ্যাপটি প্রচার করুন। অ্যাপ স্টোরের রেটিং এবং রিভিউ বৃদ্ধি করতে উৎসাহিত করুন।
প্যাসিভ ইনকামের উৎস:
- মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, যার ফলে অ্যাপের জন্য একটি বিশাল বাজার তৈরি হচ্ছে।
- বিজ্ঞাপন, ইন-অ্যাপ পারচেজ, সাবস্ক্রিপশন, ডাটা বিক্রয় ইত্যাদির মাধ্যমে আয়ের বিভিন্ন উৎস রয়েছে।
- একবার অ্যাপটি তৈরি করে প্রকাশ করলে, সেটি থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে আয় আসতে থাকবে।
অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট একটি দুর্দান্ত উপায় যার মাধ্যমে আপনি অনলাইনে একটি প্যাসিভ ইনকাম স্ট্রিম তৈরি করতে পারেন। তবে সফলতা অর্জনের জন্য একটি ভালো আইডিয়া, দক্ষতা, এবং সঠিক মার্কেটিং কৌশলের প্রয়োজন।
৫. ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কিংবা অফ্যালিয়েট মার্কেটিং জন্য ইনস্টাগ্রামের ভূমিকা দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রতি মাসে প্রায় ১.৪+ বিলিয়ন অ্যাক্টিভ ইউজার আছে ইন্সটাগ্রামে। এই প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে দেশি বিদেশি অনেকেই এখন হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে। ইন্সটাগ্রাম মূলত Photo, Video শেয়ারিং আপ্লিকেশন এবং সোশ্যাল প্লাটফর্ম।
আর মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ইন্সটাগ্রাম একটি Mobile Focused সোশ্যাল প্লাটফর্ম। মানে ম্যাক্সিমাম ব্যবহারকারী ইন্সটাগ্রাম মূলত তাদের মোবাইল ফোনেই ব্যাবহার করে। তাই আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে মার্কেটিং এর কিছু সিক্রেট ফলো করে প্রতি মাসে মিনিমাম ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব।
৬. প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস করে প্যাসিভ ইনকাম
বর্তমান সময়ে প্যাসিভ ইনকামের জনপ্রিয় মাধ্যম হল প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস। Print on Demand কে সংক্ষেপে POD বলা হয়ে থাকে। প্রিন্ট অন ডিমান্ড নামটি শুনে বুঝতে পারছেন যে এখানে ডিমান্ড অনুযায়ী কোন কিছু প্রিন্ট করে দিতে হবে। অর্থাৎ কাস্টমার এর ডিমান্ড অনুযায়ী আপনাকে প্রোডাক্ট ডিজাইন করে প্রিন্ট করে দিতে হবে।
বিভিন্ন পণ্য যেমন টি-শার্ট, মগ, বই, ক্যানভাস ইত্যাদি এর উপর প্রোডাক্ট ডিজাইন করে বিভিন্ন প্রিন্ট অন ডিমান্ড সাইটগুলোতে সেল করাকেই বলে প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস। আপনি শুধুমাত্র ডিজানই করে প্রোডাক্টটি সাইটে একটা প্রাইস সেট করে অ্যাড করে রাখবেন, আর কোন কাস্টমারের অর্ডার করলে আপনি যেই মার্কেটে কাজ করবেন তারাই আপনার হয়ে প্রোডাক্টটি প্রিন্ট করে শিপ করে দিবে প্রোডাক্টটি কাস্টমারের কাছে।
প্রোডাক্ট তৈরির খরচ বাদ দিয়ে বাকি যা থাকবে সেটাই হবে আপনার প্রফিট। সময়ের সাথে সাথে দেশ এবং দেশের বাহিরে এই প্রিন্ট অন ডিমান্ড বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে প্যাসিভ ইনকাম এর জন্য। প্রিন্ট অন ডিমান্ড প্লাটফর্মগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে মার্চ-বাই-অ্যামাজন। কারণ Merch by Amazon (MBA) এই প্লাটফর্মের সাহায্যে আপনি আপনার আপলোড করা প্রোডাক্ট সরাসরি অ্যামাজনে তা সেল করতে পারবেন।
আর অ্যামাজনে যেহেতু অরগানিক ট্রাফিক অনেক তাই সঠিক Keyword Research অ্যান্ড Competition Analysis করে কাজ করলে প্রচুর অরগানিক সেল পাওয়া যায়। মার্চ-বাই-অ্যামাজন ছাড়াও প্রিন্ট অন ডিমান্ডের আরও অনেক জনপ্রিয় সাইট রয়েছে। যেমনঃ Teespring, Redbubble, ViralStyle, TeePublic ইত্যাদি। প্রিন্ট অন ডিমান্ড কে যখন আপনি আপনার প্রফেশন হিসেবে নিবেন তখন এর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা থাকতে হবে।
৭. Cartoon Animation তৈরি করে প্যাসিভ ইনকাম
প্যাসিভ ইনকামের আরও একটি বড় মাধ্যম হল অ্যানিমেশন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে শুরু করে টিভি বিজ্ঞাপন সহ এখন যে কোন পণ্যের মার্কেটিং এ অ্যানিমেশন এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। Bengali Fairy Tales, Ssoftoons Animation, Jibonto Animation, Bangla Animation Golpo এর মতো অনেক ইউটিউব চ্যানেল প্রতি মাসে ১০০০ থেকে ৫০০০ ডলার ইনকাম করছে।
অনেক চ্যানেল একবার একটা অ্যানিমেশন তৈরি করে শুধু ভাষা ট্রান্সলেট করে বাংলা টু ইংলিশ, হিন্দিতে কনভার্ট করে একাধিক চ্যানেল রান করছে এবং সহজেই প্রচুর ইনকাম করছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে অ্যানিমেশন শিখতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার পাশাপাশি নিজের ইউটিউব চ্যানেল ভিডিও আপলোড করে প্রতি মাসে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।
ফাস্ট অ্যানিমেশন তৈরির প্রসেস, প্রিমিয়াম রিসোর্স শেয়ার, ইউটিউব থেকে সহজেই ইনকাম মাল্টিপ্লাই করার টেকনিক ছাড়াও অনেক সিক্রেট কোর্সে শেয়ার করা হয়েছে। এই কোর্সটি করে আপনি গোপাল ভাঁড়, ঠাকুরমার ঝুলি, পঞ্চতন্ত্রের মন্ত্র, নাট বলটুর মতো কার্টুন তৈরি করতে পারবেন। তাই বলা যায় প্যাসিভ ইনকামের জন্য কাটুন অ্যানিমেশন হতে পারে আপনার জন্য সুবর্ণ সুযোগ।
৮. গ্রাফিক্স ডিজাইন করে প্যাসিভ ইনকাম
প্যাসিভ ইনকামের আরও একটি সেরা মাধ্যম হল গ্রাফিক্স ডিজাইন। আপনি যদি প্রফেশনাল মানের একজন ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে আপনার ক্রিয়েটিভ এই মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলাতে কাজ করে যেমন ডলার ইনকাম করতে পারবেন ঠিক তেমনি আপনার করা ডিজাইন বিভিন্ন Microstock সাইটগুলাতে সেল করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।
কারণ Microstock সাইটগুলোতে আপনি নিয়ম মেনে নিজের করা ডিজাইন আপলোড করে রাখলেই, ইউজারদের প্রতি ডাউনলোড এর উপর ভিত্তি করে আপনার ইনকাম হবে। এর মানে আপনি যত বেশি মানসম্পন্ন ডিজাইন সেই প্লাটফর্মগুলোতে রাখতে পারবেন, আপনার ইনকাম ধীরে ধীরে তত বেশি বাড়তে থাকবে।
৯. স্টক ফোটোগ্রাফি দিয়ে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম
স্টক ফোটোগ্রাফি হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে আপনি আপনার তোলা ছবি বিভিন্ন সাইটে বিক্রি করতে পারেন। একবার আপনি একটি ছবি আপলোড করে দিলে, সেটি বারবার বিক্রি হতে পারে এবং আপনি রয়্যালটি হিসাবে টাকা পেতে থাকবেন। এটি অনলাইনে প্যাসিভ ইনকামের একটি জনপ্রিয় উপায়।
কীভাবে শুরু করবেন?
- উচ্চমানের ক্যামেরা: একটি ভালো ক্যামেরা থাকা জরুরি। এটি আপনার ছবির মান বাড়াবে এবং বেশি বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে।
- বিষয় নির্বাচন: আপনার কোন ধরনের ছবি তোলা ভালো লাগে, সেই বিষয়ে ফোকাস করুন। এটি হতে পারে প্রকৃতি, মানুষ, খাবার, অবজেক্ট ইত্যাদি।
- স্টক ফোটো এজেন্সি: Shutterstock, iStockphoto, Adobe Stock, Getty Images ইত্যাদি জনপ্রিয় স্টক ফোটো এজেন্সি। আপনার ছবি এখানে আপলোড করতে হবে।
- একাউন্ট তৈরি: প্রতিটি এজেন্সিতে একটি একাউন্ট তৈরি করুন।
- ছবি আপলোড: আপনার ছবিগুলো এজেন্সির নির্দিষ্ট গাইডলাইন অনুযায়ী আপলোড করুন। ছবির রেজোলিউশন, ফাইল ফরম্যাট ইত্যাদি বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
- কীওয়ার্ড: আপনার ছবিগুলো সঠিক কীওয়ার্ড দিয়ে ট্যাগ করুন। এতে করে ক্রেতারা সহজে আপনার ছবি খুঁজে পাবেন।
- প্রতিক্রিয়া: এজেন্সি থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে পারে। আপনার ছবির কোনো সমস্যা থাকলে তারা জানিয়ে দেবে।
- ধৈর্য্য: শুরুতেই অনেক টাকা আয় হওয়ার আশা করা ঠিক নয়। ধৈর্য্য ধরে কাজ করে যেতে হবে।
মনে রাখবেন: স্টক ফোটোগ্রাফি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। শুরুতে হয়তো অনেক কাজ করতে হবে, কিন্তু একবার সিস্টেম গড়ে উঠলে আয় নিজে থেকেই বাড়তে থাকবে।
১০. অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম
অনলাইন স্টোর হলো প্যাসিভ ইনকামের একটি জনপ্রিয় এবং কার্যকর মাধ্যম। একবার স্টোর সেট আপ করে নিলে, আপনি ঘুমিয়ে থাকাকালীনও আপনার পণ্য বিক্রি হতে পারে এবং আপনি আয় করতে পারবেন। তবে, একটি সফল অনলাইন স্টোর তৈরি এবং পরিচালনা করতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।
আপনার অনলাইন স্টোর শুরু করার জন্য এই ধাপগুলি অনুসরণ করুন:
- নিকেতন নির্বাচন: Shopify, WooCommerce, Etsy, eBay, Amazon ইত্যাদি জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। প্রতিটির নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। আপনার ব্যবসার নামের সাথে মিল রেখে একটি স্মরণীয় ডোমেইন নাম নির্বাচন করুন।
- পণ্য নির্বাচন: আপনার আগ্রহের এবং দক্ষতার ক্ষেত্রে পণ্য নির্বাচন করুন। বাজারে কী চাহিদা রয়েছে, তা খুঁজে বের করুন। ভালো মানের পণ্য সরবরাহ করুন যাতে গ্রাহকরা সন্তুষ্ট থাকে।
- স্টোর ডিজাইন: আকর্ষণীয় এবং ব্যবহারকারীবান্ধব একটি থিম নির্বাচন করুন। পণ্যের ছবি: উচ্চমানের পণ্যের ছবি ব্যবহার করুন। পণ্যের বিবরণ স্পষ্ট এবং সহজ বোধগম্য হওয়া উচিত।
- পেমেন্ট গেটওয়ে সংযুক্তি: একটি নিরাপদ পেমেন্ট গেটওয়ে যেমন PayPal, Stripe ইত্যাদি সংযুক্ত করুন। গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট বিকল্প সরবরাহ করুন।
- শিপিং সেটআপ: পণ্যের ওজন এবং গন্তব্যের উপর ভিত্তি করে শিপিং খরচ নির্ধারণ করুন। বিভিন্ন শিপিং পদ্ধতি সরবরাহ করুন যাতে গ্রাহকরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচন করতে পারে। গ্রাহকদের পণ্যের অবস্থা ট্র্যাক করার সুযোগ দিন।
- মার্কেটিং: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে আপনার স্টোরের প্রচার করুন। আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে সামনে আনার জন্য SEO কৌশল ব্যবহার করুন। গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রাখতে ইমেইল মার্কেটিং করুন।
- গ্রাহক সেবা: গ্রাহকদের প্রশ্নের দ্রুত এবং সঠিক উত্তর দিন। সহজ এবং স্বচ্ছ পরিবর্তন ও ফেরত নীতি তৈরি করুন।
- বিশ্লেষণ: আপনার স্টোরের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করুন এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করুন।
অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম অর্জন করা সম্ভব। তবে সফল হতে হলে আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে এবং নিয়মিত আপডেট থাকতে হবে।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
প্যাসিভ আয়, যেখানে প্রাথমিক প্রচেষ্টার পরে অল্প পরিশ্রমে নিয়মিত আয় অর্জন করা যায়, বর্তমান সময়ে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের একটি জনপ্রিয় উপায় হয়ে উঠেছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ব্যাপক প্রসারের ফলে এই ধরনের আয় অর্জনের সুযোগ আরো বেড়েছে। প্যাসিভ আয় অর্জন একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। আপনার দক্ষতা, আগ্রহ এবং বাজেটের উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত উৎস নির্বাচন করুন। ধৈর্য ধরে কাজ করলে আপনিও সফল হতে পারবেন।
এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি এই ধরনের তথ্য আরো জানতে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন।
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url